আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ দাপটে চলছে বাংলাদেশের বাইসাইকেল। গেল চার মাসে এখাতের রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩.১১ শতাংশ।
এমন চিত্র উঠে এসেছে সোমবার (২ নভেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি'র দেয়া হাল-নাগাদ তথ্যে।
সংস্থাটির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস-জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাইসাইকেল থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৪ কোটি ২ লাখ ডলার। গত বছর একই সময়ে উদীয়মান এই খাত থেকে আয় এসেছিল ৩ কোটি ২ লাখ ডলার। এসময়ে, বাইসাইকেল রপ্তানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ কোটি ১২ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এখাতের আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২৮.৬৮ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছর (২০২০-২১) বাইসাইকেল থেকে মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি মার্কিন ডলার। গেল অর্থবছরে এখাতের আয় ছিল ৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
এদিকে, রপ্তানির সার্বিক চিত্রে দেখা যায় অক্টোবর মাসে দেশের মোট রপ্তানি আয় এসেছে ২৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। গত বছরের তুলনায় এই আয় ৪.০৮ শতাংশ কম।
তবে, গেল ৪ মাসের মোট হিসাবে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতেই আছে দেশের মোট রপ্তানি আয়। জুলাই থেকে অক্টোবর; এই চার মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট আয় এসেছে ১২৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলার; করোনার ধাক্কা সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় এই আয় বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ (০.৯৭)। এমনকি এই গেল চার মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনাতেও দশমিক তিন আট শতাংশ বেশি।
এদিকে, আবার নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে পড়েছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। অক্টোবরে এখাতের রপ্তানি আয় হয়েছে ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। আগের মাসে এই আয় ছিল ২৪১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ অক্টোবরে পোশাক খাতের আয় কমেছে ৮ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর গেল বছরের অক্টোবরের তুলনায় এই আয় ১৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার কম। গেল বছরের অক্টোবরে দেশের তৈরি পোশাক খাতের আয় ছিল ২৫১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের হিসাবেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে আটকে গেছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। এসময়ে এখাতের মোট রপ্তানি আয় এসেছে ১০৪৫ কোটি ডলার। অথচ গেল অর্থবছরে একই সময়ে এই খাতের আয় ছিল ১০৫৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এবার আয় কমেছে ১.২ শতাংশ।