Published: 2018-09-01 Views: 2065

কোর স্পাইক বাইসাইকেল রিভিউ - ফিরোজ হায়দার


1599982125_Core-Spike-Bicycle-user-review-by-Firoz-Haider.jpg
সাইকেলের সাথে পরিচয় খুব ছোট থেকেই। স্কুল/কলেজ যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিলো সাইকেল। ছাত্র জীবন শেষে কর্ম জীবনে প্রবেশ করে একটা সময় মনে হলো নিজের একটি সাইকেল দরকার। সাইকেলটি যেমন ঢাকার ব্যস্ততম রাস্তায় যাতায়াত কিছু সহজ করবে। তেমনি আমাকেও শারিরীকভাবে ফিট রাখবে। এর বাইরেও শহরের ব্যস্ততা ছেড়ে মাঝে মাঝে এদিক ওদিক ঘুরাঘুরির ইচ্ছে থেকেই সাইকেলের কথা ভাবতে হয়। আমি ফিরোজ হায়দার। পেশায় প্রকৌশলী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কেডিএইচ ইন্জিনিয়ারিং লিমিটেড এ জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছি। আজ সবার কাছে আমার প্রিয় সংগী কোর স্পাইক সাইকেলটি নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আশা করি এর ফলে যারা এই সাইকেলটি কিনতে ইচ্ছুক তাদের সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে।

শুরুতেই বলে রাখা ভাল যে আমি যদিও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সাইকেল খুজছিলাম কিন্তু বর্তমান এই সাইকেলটা আমাকে আমার মা জন্মদিনের উপহার হিসেবে প্রদান করে। আমাকে সাথে নিয়ে তিনি এই সাইকেল আমাকে কিনে দিয়েছে ধানমন্ডির অতিপরিচিত “লায়ন সাইকেল স্টোর থেকে”। আমি এই সাইকেলটি সেপ্টেম্বর ২০১২ থেকে ব্যবহার করছি যার বয়স প্রায় ৬ বছর হতে চলল।


Core-Spike-Bicycle-user-review-by-Firoz-Haider-Design


এই সাইকেলটা কেনার কারন বলতে গেলে আমাকে বলতে হবে এর রং এর কথা। হলুদ রং আমার খুব পছন্দের আর এই সাইকেলের রং টা এমন যেটা আমি খুজছিলাম। যদি আপনি আমাকে সাইকেলটার ভাল দিক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন তবে আমি বলবো যে এর ওজন খুব হালকা যার কারণে আমি ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত গতি উঠাতে পারি। আবার যদি আপনি আমাকে এর খারাপ দিক নিয়ে প্রশ্ন করেন তবে আমি বলব যে এর ব্রেক সিস্টেমটা বেশি ভালো নয়।

যদি আপনি ভালমানের সাইকেল কেনার কথা চন্তা করেন তবে আমি বলব যে অন্যসকল আধুনিক সাইকেলের পাশাপাশি এই সাইকেলটার ব্যাপারে ভাবার জন্যে। কারন এই সাইকেলটার পারফরমেন্স সত্যিই প্রশংসনীয়।

New Added Bicycles